আড়াই শ যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়ায় লঞ্চডুবি
পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে সারবাহী কার্গোর ধাক্কায় প্রায় আড়াই শ যাত্রী নিয়ে এমভি মোস্তফা-৩ নামে একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জীবিত উদ্ধার হয়েছে ৪৫ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।
উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও উদ্ধারকারী জাহাজ আইটি। দুপুরে পৌনে ৩ টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
বিআইডাব্লিউটিএ’র ট্রাফিক পরিদর্শক দীনেশ কুমার সাহা লঞ্চ ডুবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি ডুবে যায়। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।
লঞ্চটির মাস্টার আফজাল হোসেনও এ খবর নিশ্চিত করেন।
ওই রুটের অপর এক লঞ্চের সারেং হাবিবুর রহমান বলেন, রবিবার পৌনে ১২টার দিকে লঞ্চটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী গোয়ালন্দ কৃষি অফিসের হেড ক্লার্ক তফসির জানান, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময় তিনিসহ কেবিনের বাইরে থাকা যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে অন্য লঞ্চ ও ট্রলারে উঠতে সক্ষম হয়। তবে লঞ্চের ভেতরে থাকা শতাধিক যাত্রী বের হতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তিনি।
তফসির আরো জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর এলাকা থেকে আসা একটি কার্গো লঞ্চটির মাঝখানে ধাক্কা দেয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লঞ্চটি উল্টে ডুবে গেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে।
সাইদুল ইসলাম জানান, তার ভগ্নিপতি রমজান ওই লঞ্চে ফল বিক্রি করেন। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রমজানের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার অন্তার মোড়ে।
ডেস্ক রিপোর্ট