আলু চাষিদের ভবিষ্যৎ

ডেস্ক নিউজ – পলাশ সরকার গরিব আলু চাষিদের কী হবে? আলুর উৎপাদন মূল্য না পেয়ে তারা যে হাপিত্যাশ করে চলেছেন এর থেকে আদৌ মুক্তি মিলবে কি? আলু নিয়ে বর্তমানে যে সমস্যা চলছে তা মোটেও নতুন নয়। ঘুরে ফিরে কিছুকাল পর পরই এই সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এর সমাধানে যে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া দরকার তা আর নেয়া হয় না। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশিÑ এটি তো সুখবর। কিন্তু তা দুঃসংবাদে পরিণত হচ্ছে এই কারণে যে, একদিকে সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগার নেই, রফতানি উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা যায়নি। পাশাপাশি আলুর ওপর নির্ভরশীল কৃষি শিল্পকে যথাযথ গুরুত্বও দেয়া হচ্ছে না। যে সমস্যা বর্তমানে দেখা দিয়েছে দ্রুত তার সমাধানের পথ বের না করলে কৃষক কি আদৌ আগ্রহ দেখাবে আলু উৎপাদনে? কৃষক আগ্রহ হারিয়ে ফেললে সম্ভাব্য পরিণতি কী হবে তা কি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখেছেন? এ ব্যাপারে সমন্বিত পদক্ষেপ খুবই জরুরি। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ প্রকাশ্য সমাবেশে উপহার হিসেবে যেভাবে নগদ টাকার আবদার করেছেন তা শুধু দৃষ্টিকটুই নয়, আমাদের রাজনীতির জন্য এক ধরনের অশনি সংকেতও। অতিমাত্রায় বাণিজ্যে জড়িয়ে গত সংসদের চিফ হুইপ ও উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ নানাভাবে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। এ কারণে এবার বাদও পড়েছেন। ধারণা করা হয়েছিল, আসম ফিরোজ জেনেশুনে বিতর্কে জড়াবেন না।
কিন্তু তিনি যে আরও এককাঠি সরেস তা কে জানত! দুঃখ প্রকাশ করে চিফ হুইপ যদি এখানেই থেমে যান, সেটি সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক হিসেবেই বিবেচিত হবে। কিন্তু উল্টো তিনি যদি গণমাধ্যমকেই তাঁর বক্তব্য প্রকাশের জন্য দায়ী করতে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে আদৌ তাঁর বোধোদয় হয়নি। মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় আবার পিছিয়ে দেয়া কিসের ইঙ্গিত বহন করছে? শেষ মুহূর্তে বহুল আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচারক পরিবর্তন হওয়ার হেতু কী? রায় ঘোষণার ধার্য তারিখ পিছিয়ে দেয়ার মাধ্যমেই কি প্রমাণ হয় না আমাদের বিচার ব্যবস্থায় এখনও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হাত আছে? ঘুরে ফিরে এই প্রশ্ন সামনে এসে পড়ছে। মঞ্জুর হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে স্পষ্টত বলা আছে, এইচএম এরশাদের নেতৃত্বেই মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়। বিমান বাহিনীর তৎকালীন প্রধান এয়ারভাইস মার্শাল সদর উদ্দিন এই মামলায় দেয়া এক জবানবন্দিতেও একথা বলেন। সেই এরশাদ এখন মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। নীতিহীন এই রাজনীতির কাছে আমরা কী আশা করব?