Published On: Wed, Jan 20th, 2016

বেতন বৃদ্ধির কৌশল

Share This
Tags

office

প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেরই লক্ষ্য থাকে কম বেতন দিয়ে কর্মীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ শ্রমটা আদায় করে নেওয়া। আবার অধিকাংশ কর্মীর লক্ষ্য থাকে এর বিপরীত। এ অবস্থায় কর্মীরা কিভাবে বেতন বাড়াবেন—তেমন কয়েকটি উপায় বাতলে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

১. কর্মদক্ষতা ও চাহিদার সমন্বয় অনেক প্রতিষ্ঠানই মনে করে, কর্মীদের চাহিদার শেষ নেই। যতই অর্থ খরচ করা যাক না কেন, কর্মীদের চাহিদা মিটবে না। এ ভয়ের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের বেতন বাড়াতে চায় না। এ অবস্থায় বেতন বাড়াতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই নিজের কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।

২. নিজের স্বাতন্ত্র্য তুলে ধরা আপনার বেতন কেন বাড়ানো হবে? তা এই কারণে যে আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা। আপনাকে স্বতন্ত্র যোগ্যতা কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গতানুগতিক কর্মী হয়ে আলাদা কিছু আশা করতে পারেন না।

৩. ছোট না করা বেশি বেতন চাইতে গেলে অন্যদের চেয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে হবে, এ কথা ঠিক। কিন্তু এটি করতে গিয়ে অন্যদের ছোট করাও উচিত হবে না। এতে অন্যরা আপনাকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করবে এবং আপনার কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও আপনার ওপর নাখোশ হতে পারেন।

৪. ব্যবস্থাপককে খুশি রাখা অনেক ব্যবস্থাপককেই দেখা যায়, অধস্তন কোনো কর্মী ভালো করলে সাধুবাদ জানাতে চান না। আবার কোনো কোনো কর্মীর কাজ এত ভালো হয় যে ব্যবস্থাপকদের বলতে শোনা যায়, ‘আমি তাকে ধন্যবাদ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।’ যদিও তাঁরা কর্মীর বেতন কিংবা সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চান না। এর পরও আপনাকে ব্যবস্থাপকের সন্তুষ্টি অর্জন করতেই হবে।

৫. কাজ প্রমাণ করা সব বিষয়েই মুনাফা খোঁজা প্রতিষ্ঠানের একটা বৈশিষ্ট্য। এমনকি আপনার বেতন বাড়ানোর বিপরীতেও সে লাভ করতে চাইবে। তাই বেতন বাড়ানোর পর আপনাকে প্রমাণ করতে হবে, বেতন বাড়িয়ে প্রতিষ্ঠান কোনো ভুল করেনি। এতে পরবর্তীতে আরও বেতন বাড়াতে প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হবে। এছাড়া সে কাজে সম্ভব না হলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সুবিধাজনক পদে চলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখা এবং যোগাযোগ রক্ষা করাও প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।