Published On: Wed, Mar 2nd, 2016

দিনে ৪ ঘণ্টা ঘুমিয়েও সুস্থ থাকা

Share This
Tags

proper sleeping

দিনটা ২৪ ঘণ্টার হলে কী হবে, আমাদের হাতে সময় বড়ই কম! সারাটা দিন চলে যায় অফিস-বাড়ি, বাচ্চার দেখাশোনা বা সংসারের হাজারো ঝক্কি পোহাতে। এমনকী, এই কারণেই টান পড়ে নিজের ঘুমের সময়টুকু উপরে। ঘরে-বাইরে দু’দিকেই সামলাতে অনেকেই কম ঘুমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কিন্তু আখেরে ক্ষতিই হয় আপনার। কার্যক্ষমতা তো কমে যায়ই, আপনার শরীরও তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে ঘাটতি দেখা দেয় শারীরিক সক্ষমতায়। কিন্তু, জানেন কি, কী ভাবে মাত্র চার ঘণ্টা খরচ করেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোনো যায়? সোনার পাথরবাটি মনে হলেও মনস্তত্ত্ববিদরা কিন্তু বহু বছর আগেই এ ধরনের ঘুমের কথা বলেছেন। এমনকী, ইতালির রেনেসাঁস যুগের শিল্পী ও উদ্ভাবক লিওনার্দো দা ভিঞ্চি সারা দিনে মাত্র দেড় ঘণ্টা ঘুমোতেন। প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর মাত্র ১৫ মিনিট ঘুমোতেন তিনি। তা সত্ত্বেও দা ভিঞ্চির কর্মক্ষমতায় কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের পরই আমাদের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। সাইকোলজিস্টরা এ ধরনের ঘুমকে ‘পলিফেজিক স্লিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। মানে সারা দিনে একাধিক বার ঘুমোনো। এ ভাবেই নাকি মাত্র চার ঘণ্টা বা তার সামান্যে বেশি সময় ঘুমিয়েও সক্ষম থাকতে পারি আমরা। তবে কী আমি-আপনার জীবনেও ‘পলিফেজিক স্লিপ’ সম্ভব? অনেকের মতে, তা সম্ভব! কী ভাবে, জেনে নিন তা-

১) প্রতি ছ’ঘণ্টা অন্তর ৩০ মিনিট ঘুমান। (ডাইমেক্সিওন মেথড)

২) প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর ২০ মিনিট ঘুমান। (দ্য উবেরম্যান মেথড)

৩) রাতে একটানা দ়ে়ড় ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টা ঘুমোন। এর পর সারা দিনে তিন বার ২০ মিনিট করে ঘুমান। (দ্য এভরিম্যান মেথড)

৪) রাতে একটানা পাঁচ ঘণ্টা ঘুমোন। এর পর সারা দিনে এক বার দেড় ঘণ্টা ঘুমান। তবে উপরের পদ্ধতির সঙ্গে একটি সতর্কবার্তাও জুড়ে দিয়েছেন সাইকোলজিস্টরা। তাঁদের মতে, যে হেতু আমাদের প্রত্যেকের শারীরিক গঠন ও কার্যক্ষমতা আলাদা হয় সে হেতু ‘পলিফেজিক স্লিপ’ সকলের ক্ষেত্রে সফল না-ও হতে পারে। ফলে সারা দিনে কম ঘুমোতেই পারেন, যদি তা আপনার শরীরে সয়!