রাঙামাটিতে টেলিটকের অপহৃত ৫ কর্মী উদ্ধার
অপহরণের ১৭ দিন পর খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা থেকে আজ শুক্রবার ভোরে বি টেকনোলজির একজন প্রকৌশলীসহ অপহূত পাঁচ কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বি টেকনোলজি রাষ্ট্রায়ত্ত মুঠোফোন কোম্পানি টেলিটকের কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান। তাঁদের উদ্ধারে কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন রাঙামাটি ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) অধিনায়ক মেজর তাজুল ইসলাম।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বি টেকনোলজির প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন, টেকনিশিয়ান মো. ইমরুল হোসেন ও মো. হেমায়েত হোসেন এবং সুপারভাইজার সুজাউদ্দিন ও মো. মুজিবুর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে চারটার দিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং এলাকা থেকে অপহূত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অপহূত ব্যক্তিরা শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন তবে তাঁরা সুস্থ আছেন। অপহরণকারীরা অপহূত ব্যক্তিদের নিয়ে একের পর এক স্থান পরিবর্তন করছিল। আজ তারা দীঘিনালার মেরুং এলাকায় আছে খবর পেয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা অপহূত ব্যক্তিদের ফেলে পালিয়ে যায়। অপহূত ব্যক্তিদের গায়ে গুলি লাগার আশঙ্কায় অপহরণকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়নি। অপহরণকারীদের এখনো শনাক্ত করা না গেলেও তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
অপহূত প্রকৌশলী আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অপহরণের দিন তাঁদের চোখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনো নির্দিষ্ট স্থানে তাঁদের রাখা হয়নি। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো। প্রতিদিন দুই বেলা করে খাবার দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ জুলাই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা ইউনিয়নের বারিবিন্দুঘাট এলাকায় টেলিটকের একটি টাওয়ারে কারিগরি ত্রুটি মেরামতের সময় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা বি টেকনোলজির ওই পাঁচজনকে অপহরণের পর ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে বি টেকনোলজি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খাগড়াছড়ির একটি গোপন জায়গায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুক্তিপণ বাড়িয়ে তিন কোটি টাকা দাবি করায় সমঝোতা ভেস্তে যায়।
অপহরণের পর থেকে অপহূত ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় ১৭ দিন পর অপহূত পাঁচজনকে উদ্ধার করা হলো। অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন বারিবিন্দুঘাটের মাঝি হিরণ্ময় চাকমা ও টেলিটকের স্থানীয় টাওয়ার তত্ত্বাবধানকারী মন্টু বিকাশ চাকমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বি টেকনোলজির প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন, টেকনিশিয়ান মো. ইমরুল হোসেন ও মো. হেমায়েত হোসেন এবং সুপারভাইজার সুজাউদ্দিন ও মো. মুজিবুর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে চারটার দিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং এলাকা থেকে অপহূত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অপহূত ব্যক্তিরা শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন তবে তাঁরা সুস্থ আছেন। অপহরণকারীরা অপহূত ব্যক্তিদের নিয়ে একের পর এক স্থান পরিবর্তন করছিল। আজ তারা দীঘিনালার মেরুং এলাকায় আছে খবর পেয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা অপহূত ব্যক্তিদের ফেলে পালিয়ে যায়। অপহূত ব্যক্তিদের গায়ে গুলি লাগার আশঙ্কায় অপহরণকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়নি। অপহরণকারীদের এখনো শনাক্ত করা না গেলেও তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
অপহূত প্রকৌশলী আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অপহরণের দিন তাঁদের চোখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনো নির্দিষ্ট স্থানে তাঁদের রাখা হয়নি। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো। প্রতিদিন দুই বেলা করে খাবার দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ জুলাই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা ইউনিয়নের বারিবিন্দুঘাট এলাকায় টেলিটকের একটি টাওয়ারে কারিগরি ত্রুটি মেরামতের সময় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা বি টেকনোলজির ওই পাঁচজনকে অপহরণের পর ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে বি টেকনোলজি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খাগড়াছড়ির একটি গোপন জায়গায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুক্তিপণ বাড়িয়ে তিন কোটি টাকা দাবি করায় সমঝোতা ভেস্তে যায়।
অপহরণের পর থেকে অপহূত ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় ১৭ দিন পর অপহূত পাঁচজনকে উদ্ধার করা হলো। অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন বারিবিন্দুঘাটের মাঝি হিরণ্ময় চাকমা ও টেলিটকের স্থানীয় টাওয়ার তত্ত্বাবধানকারী মন্টু বিকাশ চাকমাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে।