Published On: Fri, Aug 23rd, 2013

পর্নো ছবি নিষিদ্ধ ক্যালিফোর্নিয়ায়

Share This
Tags

sanny-liyon_02পর্নোমুভি বন্ধের কোন খবর নিশ্চয়ই পর্নো ভক্ত কিংবা আসক্তদের জন্য মারাত্মক দুঃসংবাদ। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফার্নান্দো ভেলির ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সব ধরনের পর্নোমুভি বানানো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

সম্প্রতি দেশটির একজন নারী পর্নো তারকার রক্ত পরীক্ষা করে মরণব্যাধি এইডসের জীবাণু এইচআইভি এবং অপর এক পর্নো অভিনেতার সিফিলিস ধরা পড়ায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

বুধবার ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দেশটির পর্নো তারকা, অভিনেতা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর রীতিমত তাদের সবার মধ্যে নিজেদের রক্ত পরীক্ষার ধুম পড়েছে।

তবে আশার দিক হচ্ছে, এইচআইভি ধরা পড়া ওই নারী তারকার বিপরীতে যিনি অভিনয় করেছিলেন সেই ছেলেটির রক্ত পরীক্ষা করে এইচআইভির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ যাত্রা বেঁচে গেছেন পর্নো জগতের নতুন ওই মুখ।

বার্তা সংস্থা এপিকে ফিল্ম ট্রেড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক দাইয়ান ডুকে বলেছেন, ওই নারী অভিনেতাকে এইচআইভি সংক্রমণের জন্য দায় করা হয়নি।

এর আগে গত দুই দশকে মাত্র দুজন তারকাকে পরীক্ষা করে তাদের দেহে এইচআইভি ভাইরাস পাওয়া গেছে। গত বুধবার এইচআইভি সনাক্ত হওয়ার পর্নো শিল্পের ওই নারী তারকা তৃতীয় জন।

এর আগে গত বছর, পর্নো ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেবার প্রায় ডজনখানেক তারকার দেহে সিফিলিস ধরা পড়েছিল।

তবে ঠিক কখন এ বন্ধ ও স্থগিতের ঘোষণা তুলে নেয়া হবে এ সম্পর্কে এপিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সান ফার্নান্দো ভেলির ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক ডায়ানে ডিউক বলেন, “এধরনের ঝুঁকি (এইচআইভি, সিফিলিস) যখন দেখা যাবে আর নাই, তখনই এ বন্ধ ঘোষণা তুলে নেয়া হবে।”

২০০৪ সালেও যুক্তরাষ্ট্রের পর্নো তারকাদের মধ্যে এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। ডিউক জানান, দুটি ঘটনায় পর্নো অভিনেতাদের মধ্যে এইচআইভ পজিটিভ ধরা পড়েছিল তখন।

কিন্তু “বর্তমান পরিস্থিতি শুধু লস এঞ্জেলসেই নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়েই গেল প্রায় ১০ বছরে এ সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।”

সর্বেশষ এ বন্ধের ঘোষণা পর্নো ইন্ডাস্ট্রি বিরোধীরা খুবই মারাত্মকভাবে গ্রহণ করেছে। এআইডিএস হেল্থকেয়ার ফাউন্ডেশনের মাইকেল ওয়েনস্টেইন তাদের মধ্যে একজন।

ওয়েনস্টেইন শুধু দু একজন পর্নো তারকাই নন, এর সাথে যুক্ত অনেকেই নানান দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ছেন বলেন জানান।

এক বিবৃতিতে ওয়েনস্টেইন বলেন, “অনেক পর্নো অভিনেতাই সেক্সুয়াল কারণে এইচআইভি সহ নানান দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।”

এর আগে আগস্টেও এই ইন্ডাস্ট্রিটি পর্নো ছবি তৈরি বন্ধ ঘোষণা করেছির। ওই সময় বেশ কয়েকজন অভিনেতা যৌন কারণে মারাত্মক দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়লে পর্নো ইন্ডাস্ট্রিটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এক পরিসংখ্যানে দেখানো হয়, ২০০৪ সালের পর থেকে লস এঞ্জেলসের স্বাস্থ্য বিভাগ অনিরাপদ যৌন চর্চার কারণে ক্লেমেডিয়ার ২ হাজার ৩৯৬, ১ হাজার ৩৮৯টি গনোরিয়া এবং অনেকগুলো সিফিলিস আক্রান্ত রোগীর ঘটনা রেকর্ড করে।

 

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.