কৃত্রিম উপগ্রহটি ক্ষতিসাধন ছাড়াই পৃথিবীতে পড়েছে
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) দ্য গ্র্যাভিটি ফিল্ড অ্যান্ড স্টেডি-স্টেপ ওশান সারকুলেশন এক্সপ্লোরার (জিওসিই) নামের কৃত্রিম উপগ্রহটি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর এর অধিকাংশই পুড়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে। গবেষকেরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, কৃত্রিম উপগ্রহটির কিছু ধ্বংসাবশেষ পূর্ব এশিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর ও অ্যান্টার্কটিকার কোনো অঞ্চলে পড়তে পারে। গবেষকেরা এ উপগ্রহটির ধ্বংসাবশেষ সর্বশেষ দেখতে পান অ্যান্টার্কটিকার ওপরে রোববার গ্রিনিচ মান সময় ২২টা ৪২ মিনিটে। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ হারানো এক টন ওজনের বিশাল এক কৃত্রিম উপগ্রহটি কোথায় পড়তে পারে, তা নিয়ে ধারণা ছিল না গবেষকদের। ২০০৯ সালে মহাকাশে পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহটির জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় এটি বিকল হয়ে পড়েছিল। অবশ্য ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, রবি বা সোমবার কোনো একসময় এটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে এবং সুমেরু বা কুমেরুর কোনো অঞ্চলে পড়তে পারে।
দ্য গ্র্যাভিটি ফিল্ড অ্যান্ড স্টেডি-স্টেপ ওশান সারকুলেশন এক্সপ্লোরার (জিওসিই) নামের এই কৃত্রিম উপগ্রহটি ২০০৯ সালের মার্চ মাসে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও সামুদ্রিক পরিবর্তন এবং পৃথিবীর মহাকর্ষ বিষয়ে গবেষণার জন্য ইএসএ মহাকাশে পাঠিয়েছিল।
গবেষকেরা বলছেন, কৃত্রিম উপগ্রহের ক্ষেত্রে গত ২৫ বছরের মধ্যে মহাকাশ থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীতে চলে আসার ঘটনা আর প্রত্যক্ষ করা যায়নি।
গবেষকদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত একটি করে স্পেস জাংক বা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়া আবর্জনাগুলোর একটি করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করছে।