ওজন কমাতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম
উচ্চতার তুলনায় বেড়ে যাচ্ছে শরীরের ওজন। ভুড়িটাও কোনো সতর্কতা সংকেত ছাড়াই সামনে যেতে শুরু করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় চলাচলে আগের মতো আর স্বাচ্ছন্দ্য নেই। এমনি সময় একদিন শুরু হয় শরীর নিয়ে সহকর্মীদের বিরক্তিকর বাক্যবাণ। ওজন কমানোর প্রচেষ্টার শুরু তখনই। শুধু যে এ কারণেই ওজন কমানোর লড়াই শুরু তা নয়, অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি। এমনকি জীবনের জন্যও। হৃদেরাগ তো আছেই, প্রোস্টেট ক্যান্সারও হয়ে যেতে পারে আপনার সঙ্গী। তবে ওজন কমানোর চেষ্টাটা হতে হবে সত্যিকার অর্থে। মেনে চলতে হবে নিয়ম-কানুন। এমনকি পরিবর্তন আনতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও।
তবে ওজন কমানোর নিয়ম-কানুন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য কিন্তু এক নয়, রয়েছে ভিন্ন সব নিয়ম-কানুন। এখানে পুরুষের জন্য কিছু নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হলো।
৯টার পর আর কিছুই নয়
ওজন কমানোর প্রথম শর্ত হচ্ছে শৃঙ্খল জীবনযাপন। এ নিয়মেই রাত ৯টার পর কোনো কিছু না খাওয়াই ভালো। এতে করে ঘুমানোর আগে খাবার হজম হওয়ার সুযোগ থাকে। অন্যদিকে দেরিতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে খাবার হজম হওয়ার সুযোগ কম থাকে। এতে শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়।
খাওয়ার আগে পানি পান
ওজন কমানোর যেসব নিয়ম রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে খাওয়ার আগে অন্তত দুই গ্লাস পানি পান করা। এতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
চলাচলে সিঁড়ি ব্যবহার
বাড়ি বা অফিসে যেখানেই হোক লিফট ছেড়ে সিঁড়ি ব্যবহার করা উত্তম। যদি অফিস বেশি উঁচুতে হয়, তাহলে অন্তত ওঠার সময় বা নামার সময় লিফট পরিহার করা উচিত। এতে নিজের অজান্তেই ওজন কমানোর কাজটা হয়ে যাবে।
গাড়ি দূরে পার্ক করা
যখন অফিস, শপিং, সিনেমা হল বা অন্য কোথাও যাওয়া হয়, তখন সঙ্গে গাড়ি থাকলে একটু দূরেই পার্ক করা ভালো। পার্কিং স্থানের সম্ভাব্য দূরবর্তী স্থানে গাড়ি রাখলে একটু বেশি হাঁটার সুযোগ পাওয়া যাবে। এসব কাজে সময় কম থাকে বলে হাঁটাটাও একটু দ্রুত হয়, যা ওজন কমানোর জন্য বেশ ফলপ্রসূ উপায়।
সঙ্গী জোগাড় করা
অনুশীলনে একজন সঙ্গী থাকা ভালো। এতে ব্যায়ামে আলস্য তো আসবেই না বরং আরো উৎসাহ পাওয়া যাবে। তা ছাড়া সঙ্গী থাকলে প্রতিযোগিতার একটা মনোভাব থাকে এবং সাফল্যের পথকে করে ত্বরান্বিত।