আকসুর তদন্ত রিপোর্ট পাচ্ছে না বিসিবি !!
সহসাই আইসিসি দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) তদন্ত রিপোর্ট পাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জুনের প্রথম সপ্তাহে রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও তদন্তের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় রিপোর্ট তৈরি করতেও সময় নিচ্ছে তারা। ধারণা করা যাচ্ছে, আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পর বিসিবি সভাপতির কাছে রিপোর্ট জমা দিবে আকসু। ঢাকার একটি ইংরেজি পত্রিকা থেকে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে উদ্ধৃত করে তেমনটাই বলছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। আর এই বিসিবি মনে করছে, এই বিলম্বের কারণ—আরও কিছু বিদেশি খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইসিসি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরের দুটি ম্যাচ নিয়ে তদন্ত শুরু করে আকসু। সংবাদ মাধ্যমে তাদের এই তদন্ত নিয়ে নানারকম অনুমান প্রকাশিত হতে থাকে। পর্যায়ক্রমে এই ঘটনায় মোহাম্মদ আশরাফুল, মাহবুবুল আলম রবিন, মোশাররফ হোসেন, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ রফিক; অনেকের নামই গুঞ্জন আকারে শোনা যায়। এক পর্যায়ে বিসিবি সভাপতি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাকিদের সম্পর্কে তিনি কিছু না জানলেও মোহাম্মদ আশরাফুল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন; পরপর আশরাফুল প্রকাশ্যেও এই স্বীকারোক্তি দেন। ওই সংবাদ সম্মেলনেই বিসিবি সভাপতি বলেন, পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাবেন তারা।
কিন্তু তারপর দেড় সপ্তাহ কেটে গেলেও রিপোর্টের কোনো দেখা নেই। সর্বশেষ আকসু তদন্ত দলের ঢাকা সফরের কথা উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি রিপোর্ট পাওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি যতোদূর জানি, তারা (আকসু দল) গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে চলে গেছে। আমি দেশে না থাকায় আমার সাথে তাদের দেখা হয়নি। তবে আমাকে বলা হয়েছে, রিপোর্ট দিতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। আমি ঠিক জানি না, ওরা রিপোর্টটা কিভাবে পাঠাতে চায়। তবে আইসিসির এজিএম আছে ২৩ জুন; সেখানেও হয়তো আমি রিপোর্টটা পেতে পারি।’
জুনের প্রথম সপ্তাহে আকসু তাদের তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা থাকলেও কেন এত সময় নিচ্ছে এ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামুদ্দিন চৌধুরি সুজন দিলেন এর ব্যাখ্যা, ‘তদন্তের রিপোর্টে কিছু বিদেশি ক্রিকেটারের নাম এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বোধহয় তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই কারণে এত সময় নিচ্ছে। তবে এই সপ্তাহেও আকসুর রিপোর্ট পাওয়া যাবে না বলে মনে হচ্ছে।’
জানা গেছে, বিপিএল ম্যাচে স্পট ফিক্সিং নিয়ে মোহাম্মদ রফিক নতুন করে কথা বলায় আকসুর কর্মকর্তারা পঞ্চমবারের মত ঢাকায় এসেছিল। ঢাকায় তিনদিনের সফরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন, বোলিং কোচ রফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলেও জানা গেছে। এই দুইজনের কাছ থেকে আকসু স্পট ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে কিছু নতুন তথ্য পেয়েছেন বলেও মনে হচ্ছে। বোর্ড সভাপতিও সে কথাই বললেন, ‘তারা সর্বশেষ সাক্ষাতে আমাকে বলেছিল, তাদের দুবাইতে আর একটা সাক্ষাত্কার নেয়া বাকি। তদন্তে নতুন কিছু না পেলে দ্রুতই রিপোর্ট দিয়ে দেয়ার কথা ছিল। তারা নতুন কিছু তথ্য পেয়েছে বলেই মনে হচ্ছে; নইলে আবার ঢাকায় আসবে কেন? যাই হোক, এসব বিষয়ে আমি পরে আরও পরিষ্কার কথা বলতে পারবো।’