মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

আজ ২৬ মার্চ। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবের দিন—মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি। তাই আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হূদয়ে ধারণ করে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করবে জাতি। একই সঙ্গে আজ বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করা হবে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী বীর সন্তানদের, স্বাধীনতার স্থপতি ও বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতাদের, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের।এবার জাতি উদ্যাপন করছে স্বাধীনতার ৪৫ বছরপূর্তি। রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটা স্বস্তিকর পরিবেশে এবার উদ্যাপিত হবে এ গৌরবময় দিনটি। একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে, অন্যদিকে চলছে আত্মনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়াস। এর মধ্যেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। কখনো জঙ্গিবাদের আবরণে, কখনো অন্য কোনো মোড়কে ফণা তোলা অপপ্রয়াস চালাচ্ছে একাত্তরের পরাজিত শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত সত্য ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে কোনো কোনো মহল থেকে। তাই আজকের দিনেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দ্রুত সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার থাকবে। উচ্চারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরাও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের জনগণকে।