Published On: Sun, May 15th, 2016

২ মাসেও খুলবে না বন্ধ সিম

Share This
Tags

tarana halim

৩১ মে রাত ১২টার মধ্যে যেসব গ্রাহক বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে নিবন্ধন করবে না তাদের সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ সময় আর বাড়বে না। নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ সিম আবার কিনে চালু করার জন্য ১৫ মাস সময় থাকলেও সে সুযোগ পেতে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে। আর যারা নিবন্ধন করেছে তাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে কার নামে কতটি সিম নিবন্ধন হয়েছে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কয়েক দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

তারানা হালিম বলেন, ‘দেশের সাড়ে ৯ কোটিরও বেশি গ্রাহক অনেক কষ্ট করে, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এই নাগরিক দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেক দেশে এ কাজের জন্য মোবাইল অপারেটর এবং জনগণও ঠিকমতো সহযোগিতা করে না। কিন্তু বাংলাদেশে সবাই সহযোগিতা করেছে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১০ কোটি গ্রাহকের সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হবে এবং তা হলেও এ কাজে সফলতা পাওয়া গেছে বলে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করেনি তাদের জন্য একটি বার থাকা দরকার।  সিম বন্ধ হওয়ার ১৫ মাসের মধ্যে আবারও সেটা কিনে নিয়ে চালু করার সুযোগ থাকলেও তা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হবে। দুই মাসের মধ্যে বন্ধ সিম চালু করা যাবে না মর্মে আমরা সিদ্ধান্ত  নিতে যাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, তারানা হালিম গত বছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর আর আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সিম নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে মোবাইল ফোনের এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন এনআইডি উইংয়ের মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যায় তাদের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০ জন। এ ছাড়া একটি এনআইডির বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম নেওয়ারও বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া যায়। গত বছরের ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আঙুলের ছাপ মিলিয়ে গ্রাহক বা সিম নিবন্ধন উদ্বোধন করেন। এর পরের মাসে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় এ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কাজ। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে এ নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সিম বা সংযোগ বন্ধের বিষয়ে তারানা হালিম গতকাল বলেন, কারিগরি কিছু সমস্যার কারণে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৩১ মে রাত ১২টার পর দুই-তিন দিন সময় লাগতে পারে। তবে বন্ধের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা পরিবর্তন করা হবে না। আর যারা নিবন্ধন করেছে, তারা দুই-তিন মাসের মধ্যেই এসএমএস পেয়ে যাবেন।

ডেস্ক রিপোর্ট – ঢাকা বিডি ২৪