Published On: Thu, Apr 9th, 2015

ফরিদপুরের বাস দুর্ঘটনা নিহত ২৫

Share This
Tags

fariudpur road accident

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০ যাত্রী। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (০৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবী এলাকায় সোনারতরী পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা- মেট্রো: ব ১৪৭০৭৪) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেলে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে বুধবার রাত ৯টায় রাজধানীর গাবতলী থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওয়ানা দেয় বাসটি। হতাহত যাত্রীদের অধিকাংশের বাড়ি বরিশাল ও পটুয়াখালী।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অভিযোগ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন সরকারের আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, রাজধানী ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন চালক। আমিনবাজার ব্রিজ পার হওয়ার পর বেশ কয়েকটি বাসকে বেপরোয়া গতিতে অতিক্রম করেন তিনি। যাত্রীরা বার বার নিষেধ করলেও শোনেনি।

এরপর ভাঙ্গার কৈডুবী এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই ১৯ যাত্রী মারা যান। ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পর মারা যান ৩ যাত্রী। আর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ২১ যাত্রীর মধ্যে চিকৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ৩ জন।

রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে গুরুতর আহত ১৮ যাত্রিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো বলে জানান হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আরিফ ইসলাম।

নিহত ২৫ জনের মধ্যে আকলি আক্তার, আসমা, আমেনা, হেলাল ও শাহিনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। এছাড়া শফিকুলের বাড়ি (২৫) গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর, আবজাল মিয়া (৬৫) ও সূর্য বেগমের (৪০) বাড়ি বরিশাল, রেজাউল (৩৫) মির্জাগঞ্জ ও মনিরুল ইসলাম (৩৫) যশোরের বাসিন্দা। নিহত হাসনা বেগমের (৪৫) ঠিকানা পাওয়া যায়নি। পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তরের  প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় জেলা প্রশাসক সরকার শরাফত আলী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলার মো: আবদুল রশিদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মরদেহ সৎকার ও পরিবহনের জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

সুত্র – বাংলা নিউজ ২৪

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.