দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করার অধিকার কারো নেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরাজমান সমস্যা উত্তরণে তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করার অধিকার কারো নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ যখন সব খাতে বিপুলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে সময়ে জ্বালাও-পোড়াও, বর্বরতা ও মানুষ হত্যার কারণে আমরা কিছু সমস্যার মোকাবিলা করছি।’
তিনি আজ সকালে আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বৈঠকে তাঁর সূচনা ভাষণে একথা বলেন।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন। এছাড়া এতে বক্তৃতা করেন একই বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন আর হরতাল-অবরোধের কার্যকারিতা নেই। এ কারণে হরতাল ও অবরোধের নামে মানুষ খুন করা হচ্ছে। আমি জানি না, কেন এ নৃশংস কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দলের বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য ও দায়িত্ব রয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। স্বাধীনতার জন্য এ দলের অনেক আত্মত্যাগ রয়েছে। আওয়ামী লীগই মুক্তিযুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। এজন্য যে আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা কাজ করবো, অন্য কোন দল সেভাবে কাজ করবে না। এটাই বাস্তবতা। দেশের জনগণ ইতোমধ্যে তা বুঝে গেছেন।
বাংলাদেশের প্রথম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধ উপগ্রহ’ চালুর কাজ দ্রুততর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপগ্রহ শিগগিরই চালুর কাজ আমাদের শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ’ এই মেগা প্রকল্পের কাজ আন্তর্জাতিক টেন্ডার অথবা গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জিটুজি) পর্যায়ে বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। জিটুজি পর্যায়ে হলে সময়ের সাশ্রয় হবে। এক্ষেত্রে কিছু সদস্য দেশের সক্ষমতা রয়েছে।