ছাত্রলীগের দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সুমন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রক্টর ড. হিমাদ্রি শেখর রায়সহ ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সুমন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
আহতদের চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরের পেটের বাম দিকে ও পায়ে ছড়রা গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছে ক্যাম্পাস সূত্র। ওই এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে, দুপুর সোয়া একটায় জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। ভিসি আমিনুল হক ভূঁইয়া ছাড়াও সভায় উপস্থিত থাকবেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. কবীর হোসেন, সৈয়দ মোস্তফা হলের প্রভোস্ট ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আধিপত্য বিস্তার, নতুন কমিটির বিরুদ্ধাচারণ ও হল দখলকে কেন্দ্র করে বেলা সাড়ে ১১টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
খলিলুর রহমান নামে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে অপর দু’জনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের সুমন-নাঈম গ্রুপ শাহপরান হলে অন্তত ৪০টি কক্ষ ভাঙচুর করে। একই সময়ে তারা দ্বিতীয় ছাত্র হলেও ভাঙচুর করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একাধিক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুমন ও নাঈম গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে ব্যাপক ভাঙচুর করে। একই সময়ে তাদের পক্ষের লোকজন দ্বিতীয় ছাত্র হলেও ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে হল ছেড়ে পালায়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়- এর আগে হলগুলো ছাত্রলীগের উত্তম ও অঞ্জনের দখলে ছিল। সম্প্রতি পার্থকে সভাপতি করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন এ কমিটির বিরুদ্ধাচারণ করে সুমন-নাঈম গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার তারা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।
সুত্র – বাংলা নিউজ ২৪