Published On: Sun, Jul 6th, 2014

২৪ বছর পর আর্জেন্টিনা সেমিতে

Share This
Tags

media-710b7005dfa94a9ca2e428210cc20c3bBrazilSoccerWCupArgentinaBelgiumগঞ্জালো হিগুয়েনের একমাত্র গোলে দুই যুগ পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ এর বিশ্বকাপে ফুটবল জাদুকর ম্যারাডোনার পর এবার মেসি-হিগুয়েন দলকে নিয়ে গেলেন বিশ্বকাপের শেষ চারে।

বেলজিয়ামের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ৮ মিনিটেই গঞ্জালো হিগুয়েনের গোলে শুভ সূচনা করে শিরোপার দাবিদার আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর পর থেকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে যায় দু’দলই। ৫৩ মিনিটে ম্যাচের প্রথম কার্ড ব্যবহার করেন ইতালীয় রেফারি। লুকাস বিগলিয়াকে অবৈধভাবে ট্যাকল করায় কার্ড দেখেন বেলজিয়াম তারকা ইডেন হ্যাজার্ড।

৫৫ মিনিটে আরও একটি গোল করার সুযোগ পান  হিগুয়েন। ভিনসেন্ট কোম্পানিকে কাটিয়ে অরক্ষিত গোলরক্ষক কোরতোয়াকে একলা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।

ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ৬০ মিনিটে গোল পরিশোধে মরিয়া বেলজিয়াম কোচ মার্ক উইলমটস দুজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামান। ডিভক অরিগির বদলি হিসেবে নামেন রোমেলু লুকাকু এবং কেভিন মিরালাসের বদলি হিসেবে নামেন ড্রাইস মার্টেন্স।

৬৯ মিনিটে টবি অ্যাল্ডারউইয়ার্ল্ড বিগলিয়াকে কড়া ফাউল করায় ম্যাচরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন। এ কার্ড নিয়ে টুর্নামেন্টে ২টি হলুদ কার্ড দেখায় পরবর্তী ম্যাচে নিষিদ্ধ হলেন টবি।

গোল পরিশোধে মরিয়া বেলজিয়াম আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভেদ করতে না পারায় প্রত্যাশিত গোল করতে ব্যর্থ হয়।

৭৫ মিনিটে ভেরতোনহেনকে ফাউল করায় আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন লুকাস বিগলিয়া।

খেলার ৯০ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টিনার ৫১ শতাংশ বল পজেশন বিপরীতে বেলজিয়াম ৪৯ শতাংশ বল পজেশন রাখতে পারলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। আর্জেন্টিনার নেওয়া ১০টি শটের বিপরীতে বেলজিয়াম ১১টি শট নিলেও একটি শট থেকেও গোল করতে পারেনি।

এর আগে প্রথমার্ধের খেলায় হিগুয়েনের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৮ মিনিটে মেসির বাড়িয়ে দেওয়া বল বেলজিয়াম ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা হিগুয়েনের কাছে। আর বক্সের ভেতরে বল পেয়ে গোল করতে কোনো ভুল করেননি হিগুয়েন।

এরপর খেলার ২৯ মিনিটে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পান অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ডিবক্সে সামান্য বাইরে বেলজিয়াম ডিফেন্ডার কোম্পানিকে একা পেয়েও তাকে কিটিয়ে গোল দিতে ব্যর্থ হন মারিয়া। ডি মারিয়ার নেওয়া শট সহজেই প্রতিহত করেন কোম্পানি।

৩৩ মিনিটে ইনজুরির কারণে ডি মারিয়াকে বসিয়ে বদলি খেলোয়াড় নামান কোচ আলেহান্দ্রো সাবেয়া। মারিয়ার বদলে মাঠে নামেন মিডফিল্ডার এনজো পেরেজ।

এর আগে খেলার ৪ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে যেয়ে বাম পাশে থাকা লাভেজ্জিকে পাস দেন মেসি। বেলজিয়ামের ডিবক্সের ভেতর হিগুয়েনের উদ্দেশ্যে লাভেজ্জির ঠেলে দেওয়া বল ক্লিয়ার করেন ভিনসেন্ট কোম্পানি।

২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচাতে ফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে লিওনেল মেসির দিকে তাকিয়ে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। অন্যদিকে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার কাছে সেমিফাইনালে পরাজয়ের বদলা নিতেই মাঠে নেমেছে ইডেন হ্যাজার্ডের বেলজিয়াম।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.