সফল হতে ত্যাগ করুন ১২টি বদভ্যাস

অসচেতনতা বশে হোক বা খেয়াল করেননি, কিছু না কিছু বদভ্যাসের দাস বনে গেছেন বছরজুড়ে। নতুন বছরটাকে নষ্ট করতে এগুলোই যথেষ্ট। বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন দারুণ ক্ষতিকর কয়েকটি বদভ্যাসের কথা। এগুলো থেকে দ্রুত মুক্তি নিন।
১. টানা ওয়েব ব্রাউজিং দেহ ও মনের স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর। সব প্রশ্নের জবাব ইন্টারনেটে খুঁজতে যাবেন না। এগুলো খাতায় লিখে বই পড়ে দেখে নিন।
২. বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়, মাত্র ২ শতাংশ মানুষ একই সঙ্গ একাধিক কাজ করতে পারেন। কাজেই সময় বাঁচাতে একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে যাবনে না। এতে সফলতা ভেস্তে যাবে।
৩. ক্রমাগত ইমেইল আসতেই থাকে। কিন্তু এগুলো ক্রমাগত দেখতে থাকা দারুণ মানসিক চাপের কারণ। তাই দিনের বিশেষ সময় ইমেইল দেখে নিন।
৪. নতুন কোনো অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে বহু মানুষ নিজের উন্নতি করতে চায়। এটি এক ধরনের প্রতারণা। তাই নতুন পন্থায় নিজের উন্নতি করুন।
৫. মানুষের ইচ্ছাশক্তির কোনো সীমারেখা নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছাশক্তি সীমাবদ্ধ। দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরের সময়ের জন্যে ফেলে রাখার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন।
৬. অফিসে আপনি হয়তো দারুণ ব্যস্ত। কিন্তু তাই বলে একের পর এক মিটিং আপনার প্রাণশক্তি শুষে নেবে। সুনির্দিষ্ট কারণ ও এজেন্ডা ছাড়া কোনো মিটিংয়ের প্রয়োজন নেই।
৭. অবসরে হয়তো কাজ নেই। ছুটিতেই থাকতে পারেন। কিন্তু তাই বলে দিনভর বসে বসে সময় কাটানো উচিত নয়। এতে অবসাদের ছেয়ে যাবে মন। তাই একটু এদিক ওদিক করুন।
৮. ঘুম থেকে উঠতে অ্যালার্মের কাজ করে স্মার্টফোন। কিন্তু স্নুজ বাটন দারুণ ক্ষতিকর। তাই স্নুজ বাটন ব্যবহারের বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসুন।
৯. বেশি বেশি লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে ঝাঁপ দেবেন না। এতে কোনো কাজই সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণটি বেছে নিন, এগিয়ে যান।
১০. কাজে সফল হতে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনাই যথেষ্ট। কিন্তু এ নিয়ে একের পর এক পরিকল্পনা গোটা সম্ভাবনাকে ভেস্তে দেবে।
১১. আবার একেবারে পরিকল্পনা না থাকাটাও ভালো নয়। এতে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হাসিল হবে না।
১২. বিছানায় ঘুম দেবেন। এ সময় স্মার্টফোন বা ডিজিটাল যেকোনো যন্ত্র ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।