রিজ্যুমির ৫টি ভুল

অধিকাংশ মানুষই তার রিজ্যুমি লেখতে ঘৃণা করেন। এই দুই পাতার একটি জিনিস প্রস্তুত করাটাই প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। কিন্তু মনের মতো রিজ্যুমি প্রস্তুতের পর আবার দেখা যায়, তা মোটেও গ্রহণযোগ্য হলো না চাকরিদাতার কাছে। তখন মনটাই ভেঙে যায়। বিগত যুগে রিজ্যুমি লেখার ভাষা ও পদ্ধতি অনেক বদলে গেছে। তাই সেই পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করলেই বিপদে পড়তে হয়। এখানে জেনে নিন, পছন্দের রিজ্যুমিটাও কেন বাতিল হয়ে যায়।
১. অবজেকটিব স্টেটমেন্টে কেবলমাত্র ‘আমি, আমি আর আমিতে’ পূর্ণ থাকলে তা বিরক্তির কারণ হয়। ক্যারিয়ার অবজেকটিভ অংশে চাকরিদাতা দেখতে চাইবেন যে, আপনি আসলে তাদের কাছে কি চাইছেন। নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে বিশেষণসমৃদ্ধ বিবৃতি তারা দেখতে চান না।
২. নিজেকে ‘সৃষ্টিশীল’, ‘উদ্ভাবনী’ বা ভিন্নরকম কিছু দাবি করাটা মোটেও পছন্দসই হয় না। আপনি কেমন বা কতটা গুণী তা আগেই বুঝতে চায় না প্রতিষ্ঠান। আপনার গুণের প্রমাণ মিলবে যখন দায়িত্ব নেবেন। তাই নিজের বিষয়ে নানা গুণবাচক শব্দ প্রয়োগ বন্ধ করুন।
৩. আগের রিজ্যুমিগুলোতে এক কপি ছবি জুড়ে দেওয়া স্বাভাবিক ছিল। এখনো তা হরহামেশাই করা হয়। কিন্তু অনেক আধুনিকমনারা এ বিষয়টি পছন্দ করেন না। আপনাকে তারা সামনাসামনি দেখতে পাচ্ছেন। তা ছাড়া ছবিতে কিছু যায় আসে না। আপনার সফলতাই একমাত্র পরিচায়ক।
৪. বইয়ের কভারের জন্যে অন্যের উক্তি বা আপনাকে নিয়ে ছুঁড়ে দেওয়া প্রশংসাসূচক বাক্য শোভা পায়। কিন্তু তা রিজ্যুমিতে নয়। আবার রেফারেন্সের বিষয়গুলোও অনেক প্রতিষ্ঠানে গ্রহণযোগ্য নয়। যদি চাকরিদাতা আপনার কোনো রেফারেন্স চেয়ে থাকেন তবে তা দিতে পারেন। এ ছাড়া নয়। এগুলো চাকরিপ্রার্থী সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয় প্রতিষ্ঠানকে।