নিয়ন্ত্রণহীন মোবাইল পর্নোগ্রাফি, কিশোর কিশোরীরাও ক্রেতা !!
পর্নোগ্রাফি পৌছে গেছে আপনার পাশের পানের দোকানটিতে। অল্পটাকায় প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে পর্ন ভিডিও ক্লিপ। মাধ্যম মোবাইল ফোন। শহর ছাড়িয়ে মফস্বলের অলিগলি ছেয়ে গেছে মোবাইল পর্নোগ্রাফিতে। সহজলভ্য হওয়ার কারণে কিশোররাও হয়ে উঠছে এগুলোর ক্রেতা।
একটা সময়ে সাধারণত পেশাদার যৌনকর্মীরা অংশ নিতো পর্নোগ্রাফিতে। কিন্তু তেজগায়ের একটি দোকানে পাওয়া ১৩৭টি ভিডিও ক্লিপের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষের। গৃহকর্মি থেকে প্রেমিকা, স্কুল ছাত্রী, এমনকি স্বামী স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। কখনো নিজের অজান্তে গোপন ক্যামেরায়, কখনো ব্যক্তিগত মুহুর্তটিকে স্মরনীয় করে রাখতে স্বেচ্ছায় ক্যামেরাবন্দী হচ্ছে মোবাইলে।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কয়েকটি হাত ঘুরে তা ছড়িয়ে পড়ে পাড়া মহল্লার অলিগলির মোবাইল ফ্লেক্সিলোডের দোকানে। তারপর তা ছড়িয়ে যায় এক হাত থেকে আরেক হাতে। দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী। যাদের অধিকাংশই কিশোর কিংবা তরুন।
নিম্ন আয়ের কর্মজীবি তরুন-তরুনীরা কিভাবে জীবন যাপন করছে, তাদের বিনোদনের কি ব্যবস্থা এসবের সন্ধান করে পাওয়া গেলো রাজধানীর একটি শিল্প এলাকায় গড়ে ওঠা এই ক্লাবটির।
পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষন, ক্রয়বিক্রয় নিষিদ্ধ করে রয়েছে আইন। কিন্তু নেই এর কোনো প্রয়োগ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত সীমা অতিক্রম না করা এবং সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।