Published On: Mon, Apr 18th, 2016

জাহাঙ্গীর শোভন এর দেশ দেখা

Share This
Tags

desh-dekha

সাফল্যকে দেশ ও সমাজের কাজে লাগাতে চান জাহাঙ্গীর শোভন প্রেস রিলিজ তিনি পায়ে হেটে তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ এসেছেন ৪৬ দিনে। গত ২৮ মার্চ সোমবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের দক্ষিণ সীমানায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে গোলারচরে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তেতুলিয়া থেকে পায়ে হেটে টেকনাফ ভ্রমনের প্রথম লক্ষ্য পূর্ণ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম শোভন। এবং পরের দিন ৪৭ তম দিনে তিনি সেন্টমার্নটিন দ্বীপে গিয়ে দ্বীপের এপার থেকে ওপার পর্যন্ত পদব্রজে ভ্রমণ করে তার চূড়ান্ত লক্ষ্য পূরণ করুন।১২ ফ্রেব্রুয়ারী পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট থেকে সম্পূর্ণ পায়ে হেটে যাত্রা শুরু করেন তিনি। গত ১৬ মার্চচ ঢাকায় সফর পরবর্তী এক আড্ডায় শোভন বলেন, তিনি তার এই সাফল্যকে দেশ ও দেশের মানুষের কাজে লাগাতে চান। বিশেষকরে শিশু পরিস্থিতির উন্নয়নে তিনি কাজ করতে চান। কয়েকটি শিশু সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে শোভন দীর্ঘ কয়েকবছর যাবত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে যাছ্ছেন এবার সেই কাজের পরিধিকে আরো বিস্তৃত করতে চান তিনি। গত ১৭, ১৮ ও ১৯ মার্চ তিনি চট্টগ্রামে অবস্থানকালে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচীতে অংশ নেন। এর মধ্যে একটি ছিলো সিটিজি ব্লাড ব্যাংকের হয়ে রেড ক্রিসেন্ট িএ রক্তদান। তিনি বলেন, যেকোনো কাজে সামাজিক মূল্য থাকা ভালো। সামাজিক ও জনকল্যাণমুলক কাজ যেকোনো মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়। তিনি তার পদব্রজ অভিযাত্রার সাফল্যকে সামাজিক কাজে ব্যবহার করতে চান। দেশ ও দেশের মানুষকে মানব কল্যানে উদ্ভুদ্দ করতে তিনি কোনো কিছু বিনিময়ে নয় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে যেতে চান। কি করে সম্ভব হলো এই কঠিন কাজ? এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাজটা কস্টসাধ্য ছিলো কিন্তু কঠিন নয়। আপনি চাইলে এটা দৈনিক ৩০/৩৫ কিলোমিটার হেটে মাত্র ৩০/৩২ দিনে এই অভিযাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন। আমি পথে পথে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এগিয়েছি বলে আমার সময়টা একটু বেশী লেগেছে। আপনার এই ভ্রমনের বিশ্বাস যোগ্যতা কি? এই প্রশ্নে জবাবে শোভন বলেন, প্রথমত একটি প্রফেশনাল ট্রেকিং সার্ভিস ব্যবহার করেছি। ট্রেকিং রেকর্ড ই সব প্রমাণ করবে। তাছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে তোলা আমার অসংখ্য ছবি রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন এলাকার মানুষের স্বাক্ষর এবং বিভিন্নস্থানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাতের ডকুমেন্ট।পথে পথে হাজার হাজার মানুষের কথা নাইবা বললাম। আর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের কর্মীরাতো রয়েছেই। এছাড়া তিনি আঠার ইঞ্চি বাই ছত্রিশ ইঞ্চি মাপের একটি বেবী স্ট্রলার বা ট্রলি নিয়েছেন যাতে তার ব্যাগপত্র বহন করা যায়। প্রতিদিনের আপডেটগুলো তিনি তার ফেসবুকে দিয়েছেন। বাংলাদেশ পর্যটন কর্রেপারেশন ও ইভেন্ট এর স্পন্সর টুর ডট কম ডট বিডিএর সিইওি লায়ন মোহাম্মদ ইমরানকে ধন্যবাদ জানান।জাহাঙ্গীর আলম শোভন মূলত একজন অনলাইন লেখক, বিজনেস কনসালটেন্ট ও সমাজকর্মী। দেশদেখা শিরোনামে তার এই ইভেন্টে পায়ে ৪৬ দিন ধরে তাকে েডকুমেন্টারী ট্রেকিং সার্ভিস দিয়েছে দিনরাত্রি ডটকম, ইউনিকো সলুশান নামে একটি কোম্পানী, ফটোগ্রাফী পার্টনার রয়েছে ফোকাস ফ্রেম, লজিস্টিক পার্টনার বড়ভাই ডট কম, ওয়ালেটমিক্স ও কিনলে ডট কম। শেষদিন ঐতিহাসিক মুহুর্তে তার সাথে যোগ দিয়েছিলেন দিনরাত্রি ডট কম এর সাহাব ইউ শিপন, ফোকাস ফ্রেম এর রুহুল কুদ্দুছ ছোটন ও বড়ভাই ডট কম এর মোহাম্ম্দ আশরাফ আলী। বাংলাদেশ পর্যটন কর্রেশন এর উধ্ধতন কর্মকর্তা জনাব পারভেজ এ চৌধুরী, ট্যুর ডট কম ডট বিডি এর সিইও লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, দিনরাত্রি ডটকম এর সিইও সাহাব ইউ শিপন, কিনলে ডটকম এর স্বত্তাধিকারী জনাব সোহেলে মৃধা, ওয়ালেটমিক্স এর সিইও হুমায়ন কবীর শোভনকে অভিন্ন্দন জানিয়েছেন। দেশদেখা শিরোনামে শোভনের এই পায়ে হাটা প্রোগ্রামে মিডিয়া পার্টনার ছিলো দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলামেইল২৪.কম, রেডিও ফুর্তি, ঢাকা রিপোর্ট, বাংলাদেশ মনিটর, চ্যানেল আগামী, ডিজিটাল সময়, ইকম ভয়েস, ই পত্রিকা, বাংলাদেশ দর্পন ২৪ ডট কম।

ডেস্ক রিপোর্ট –  ঢাকা বিডি ২৪