কুমারীত্ব পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক ইন্দোনেশিয়ায়
ইন্দোনেশিয়ায় উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ছাত্রীদের কুমারীত্ব পরীক্ষার একটি প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে। এ প্রস্তাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে বিতর্কের ঝড় ওঠে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে এ কথা জানানো হয়।
P2090-095
বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক ও যৌনকর্মীর কাজ থেকে মেয়েদের নিরুত্সাহ করতে এ প্রস্তাবটি করেন দক্ষিণ সুমাত্রার প্রবুমুলিহ জেলার শিক্ষা কার্যালয়ের প্রধান মোহাম্মদ রশিদ। অনৈতিক ও
MB7-224 বাড়াবাড়ি বলে অভিহিত করে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
মোহাম্মদ রশিদ প্রস্তাব করেন উচ্চবিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে যেসব নারী শিক্ষার্থী পরবর্তী শিক্ষাজীবনে প্রবেশ করতে চায়, তাদের ‘কুমারীত্ব’ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তাঁর দাবি, এতে করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও যৌনব্যবসা রোধ করা সম্ভব হবে।
এ প্রস্তাবের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচকেরা বলেন, এ প্রস্তাব ‘শিশু নির্যাতনের’ সমতুল্য। এ ধরনের পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে প্রাদেশিক শিক্ষা প্রধান উইদোদো জানান, তিনি ওই প্রস্তাব বাতিল করার পক্ষে। তাঁর মতে, এ ধরনের পরীক্ষা বাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ বিষয় আছে করার। তিনি বলেন, পরীক্ষা না করে বরং শিক্ষার্থীদের প্রতি আরও বেশি করে যত্নশীল হওয়া দরকার।
জাকার্তার শিশু নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, জনপ্রিয়তা পাওয়ার আশায় এ ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কেবল যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলেই যে কুমারীত্ব ক্ষুণ্ন হয়, এ ধারণা সঠিক নয়। খেলাধুলা করা বা শারীরিক অসুস্থতার কারণেও এমনটি হতে পারে।